গ্রামীণ উন্নয়ন বলতে একই সঙ্গে জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি বৃহত্তর সামাজিক রূপান্তরকেও বোঝানো হয়ে থাকে। গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, পরিকল্পনার বিকেন্দ্রীকরণ, ভূমি সংস্কারের আরোও বেশি ভালো প্রয়োগ এবং গ্রামীণ জনগণকে অধিক সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের জন্য ঋণের অধিকতর সুযোগ প্রদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে, তৃণমূল স্তরের মানুষদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংযুক্ত করার পাশাপাশি পর্যাপ্তভাবে সরকারি সাহায্য পাওয়া গেলে তবেই উন্নয়ন দ্রুত হওয়া সম্ভব বুঝতে পেরে গুরুত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে।

গ্রামাঞ্চলে গ্রামীন উন্নয়ন দপ্তর কর্তৃক নিম্নল্লিখিত প্রধান কর্মসূচিসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে,

(i) মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (MGNREGA)-এর আওতায় মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান প্রদান,

(ii) স্ব-নিযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (NRLM))

(iii) BPL আওতাভুক্ত পরিবারগুলির জন্য ইন্দিরা আবাস যোজনা (IAY)-এর আওতায় আবাসন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে

(iv) উন্নতমানের রাস্তা তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)

(v) সামাজিক পেনশনের জন্য জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি (NSAP)

(vi) আদর্শ গ্রামের জন্য সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা(SAGY)

(vii) গ্রামীণ বিকাশ কেন্দ্রগুলির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রুরবান মিশন

এছাড়াও, গ্রামীণ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য, তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ এবং পর্যবেক্ষন ও মূল্যায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে।